again a copy paste post. for my reference
'আমার ও আমাদের ট্রানজিট ভিসা প্রাপ্তি'''
।
।
উল্লেখ্য...আমরা তিন বন্ধু, মূলত মানালি যাওয়ার প্লান করেছিলাম।
পরে সেই প্লান ডাইভার্ট হয়ে,সিদ্ধান্ত হয় ভুটান যাওয়ার।
আর সেজন্য প্রয়োজন 'ট্রানজিট ভিসা'।
।
।
জেনে রাখা ভালো ট্রানজিট ভিসার ব্যাপারটা,
যথেষ্ট প্লান করে,টাইম মেনটেইন করে,করতে
হয়।
কারণ ভিসার মেয়াদ থাকে ইস্যু ডেট থেকে ১৪/১৫ দিন।
আর এম্বাসি ভিসা ইস্যু করে আপনার ট্রাভেল ডেট এর উপর নির্ভর করে।
সেজন্য জমা দেয়া আর জার্নি ডেট এর মাঝে
৯-১০ দিন গ্যাপ রাখা ভালো।
আর অন্যদিকে আপনি যদি ডলার এন্ড্রোস করেন,সেক্ষেত্রে আমি যেটা জানি ডলার-
এন্ড্রোসের ১৫ দিনের ভিতর আপনার'এপ্লিকেশন: জমা দিতে হবে।
সুতরাং সব কিছু ঠিক সময়মত গুছিয়ে তারপর অনলাইনে'এপ্লিকেশন ফরম'ফিলাপ করে
তার পরের দিনই জমা দেয়ার চেষ্টা করা ভালো।
এবার আসি আমরা কিভাবে করেছি সে বিষয়ে।
২২ এ ডিসেম্বর আমরা ডলার এন্ড্রোস করি
মতিঝিলের জনতা ব্যাংক থেকে।
এরপর টিকেট কাটা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়।
ঝামেলা বলতে অনেকেই বলতেছিল শ্যামলী পরিবহণের 'রিটার্ন টিকেট' মাস্ট লাগবে।
অথচ আমি'ভিসা সেন্টারের'হেল্প লাইনে কথা বলে
জেনেছি যে,
শ্যামলী বা শিলিগুড়ি পর্যন্ত টিকেট বাধ্যতামূলক নয়,
বরং বুরিমারী পর্যন্ত 'রিটার্ন টিকেট' দেখালেই হবে।
হেল্প লাইনের তথ্য অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, বুরিমারী পর্যন্ত রিটার্ন টিকেট জমা দিব।
যা হয় হবে!!!
তারপর....এস,আর পরিবহনের টিকেট কাটার জন্যে উত্তরায় তাদের কাউন্টারে গেলাম,
সেখান থেকে জানালো উত্তরার কাউন্টার থেকে
বুড়িমারীর আপ-ডাউন তথা রিটার্ন টিকেট ইস্যু
করা হয় না।
কেমন এক ঝামেলায় পরলাম!!!!
পরে আমার বড় ভাইয়ের পরিচিত একজনের
মাধ্যমে এস,আর পরিবহনের যাওয়া-আসা অর্থাৎ রিটার্ন টিকেটের ব্যবস্থা হল।
আলহামদুলিল্লাহ্।
২৮ তারিখ ছিলো আমাদের টিকেটের ইস্যু ডেট।
সেদিন সন্ধায় বসে অনলাইনে ইন্ডিয়ান'ভিসা ফরম' ফিলাপ করে নিলাম।
আমাদের জার্নি ডেট দিয়েছিলাম ৯ তারিখ।
আর হ্যা....
২/২ সাইজের ছবি আপলোড দিয়ে তারপর ফরম প্রিন্ট-আউট দিলাম।
(ছবির ক্ষেত্রে সদ্য তোলা ছবি হতে হবে)
তারপর আমাদের এন,ও,সি পেপার গুলো
ফরম্যাট অনুযায়ী রেডি করে নিলাম।
২৯ তারিখ গুলশান এম্বাসিতে গিয়ে বাকি কাগজপত্র সহ জমা দিয়ে আসলাম।
।
।
''জেনে নিন কি কি পেপার সহ আমরা জমা দিয়েছিলাম''
।
।
১।পাসপোর্ট।
(সাথে দুই সেট ফটোকপি,পূর্বের ইন্ডিয়ান ভিসা লাগানো থাকলে সেটার ফটোকপি সহ)।
২।অনলাইনে পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট কপি।
(ফরমের ডান সাইটে উপরের দিকে ছবি এটাচ করার একটা জায়গা আছে,সেখানে২/২ সাইজের
একটা ছবি আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিবেন)।
৩।পেইড বিদ্যুৎ বিলের অরিজিনাল কপি ও ফটোকপি।
(লাস্ট তিন মাসের পেইড বিলের একটা দিলেই হবে)।
৪।এন,আইডি কার্ডের ফটোকপি।
(জন্ম নিবন্ধন কপিও দিতে পারেন)।
৫।ডলার এন্ড্রোস কপি ও তার ফটোকপি।
(পাসপোর্টের পিছনের দিকে এন্ড্রোসমেন্টের
যে সীল লাগানো থাকে তার ফটোকপি)
(কেউ চাইলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও দিতে পারেন)।
৬।এন,ও,সি পেপার অরিজিনাল ও তার ফটোকপি।
(ভিসিটিং কার্ড বা আইডি কার্ডের ফটোকপি)-যদি থাকে।
(ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি)।
৭।এস,আর পরিবহনের বুরিমারী পর্যন্ত রিটার্ন
(আপ-ডাউন) টিকেট।
(অরিজিনাল কপি ও ফটোকপি)।
(চাইলে শ্যামলী পরিবহনের টিকেট ও দিতে পারেন)।
>আমাদের টোকেনে ডেলিভারি ডেট দেয়া ছিলো
৫ তারিখ (বৃহঃবার)।
৫ তারিখ গিয়ে পাসপোর্ট পাইনি।
পরে গতকাল রবিবার (৮ তারিখ) এম্বাসিতে
গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসছি.....ভিসা সহ। :)
।
।
হ্যাপি ট্রাভেলিং..... :)
No comments:
Post a Comment